কম্পিউটার শেখার মাধ্যমে কিভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করবেন
কম্পিউটার শেখার মাধ্যমে কিভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করবেন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অনেকেই এখন কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্যারিয়ার তৈরি করছেন। এ নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব যে কম্পিউটার শেখার মাধ্যমে কিভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করবেন। আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়লে কম্পিউটার শেখার মাধ্যমে কিভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করবেন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ কম্পিউটার শেখার মাধ্যমে কিভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করবেন
ভূমিকা
কম্পিউটার কি
কম্পিউটার শেখার মাধ্যমে কিভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করবেন
- ফ্রিল্যান্সিং- জীবিকা নির্বাহ বা ক্যারিয়ার তৈরিতে সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর সাহায্যে বর্তমান বিশ্বে অনেক বেকারত্বের হার কমে এসেছে। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে অনেকে ক্যারিয়ার গঠন করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে অনেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করেন। দিন দিন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং- ফ্রিল্যান্সিং এর মতন আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেকে এখন ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। ডিজিটাল মার্কেটিং ঘরে বসে খুব সহজেই টাকা ইনকামের পথ এনে দিয়েছে। নিউ জেনারেশনের মানুষের ভেতরে এটি একটি পপুলার মাধ্যম।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন- ডিজাইন জগতের মধ্যে অন্যতম ডিজাইনের জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক বড় একটি সেক্টর। এর পরিধি ব্যাপক। আসলে গ্রাফিক ডিজাইন এর মাধ্যমে বেশিরভাগ ডিজাইন করা হয়।
- অনলাইন সংবাদ- অনলাইনে সংবাদ প্রচারণার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের বিকল্প কিছু চিন্তা করা যায় না। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন বা প্ল্যাটফর্মে সংবাদ প্রচারণার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।
- ইউটিউব- ইউটিউবিং এর মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে তা ইউটিউব এ প্রকাশ করেও জীবিকা নির্বাহ করা যায়। অনেকেই ইউটিউবকে তাদেরকে ক্যারিয়ার গঠন করার মাধ্যম হিসেবে তৈরি করেছে।
দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার- বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনতে কম্পিউটারের ভূমিকা অপরশীল। এখন প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ছাড়া এখন যেন কল্পনা করা সম্ভব হয় না।
- বিজ্ঞান গবেষণায় কম্পিউটারের ব্যবহার- গবেষণার কাজে কম্পিউটারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার ব্যবহার করে যে কোন জটিল গণনাকে অতি দ্রুত সম্পন্ন করেন খুব সহজে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রিসার্চ ও ডাটা সঞ্চয় করে রাখতে কম্পিউটার অবদান অনেক। বিজ্ঞান গবেষণার কাজে যে সকল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় সে সকল কম্পিউটার গুলো অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।
- তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার- বর্তমান সময়ে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে, যার জন্য আমরা বেতার ও টেলিভিশন প্রোগ্রামগুলো সরাসরি প্রভোগ করতে পারি। অন্যদিকে সহজ ইন্টারনেট ইমেইল ব্যবহারের ফলে খুব কম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে খুব দ্রুত তথ্য পাঠানো বা যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে যা কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া কোনোভাবে সম্ভব নয়।
- প্রকাশনার কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার- পুরাতন মুদ্রণ পদ্ধতিকে ছেড়ে নতুন করে আধুনিক যুগে কম্পিউটারের সাহায্যে ডেস্কটপ পাবলিশিং এর ব্যবহার করে খুব সহজেই সংবাদপত্র, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা বা বই প্রকাশনার কাজে নতুন যুগান্তরকারী পরিবর্তন এসেছে।
- বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার- বর্তমানে বিনোদন জগতে কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কেননা আজ প্রায় সকল মানুষ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যবহার করে নানা রকম গান সিনেমা নাটক এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন গেম খেলে বিনোদন উপভোগ করতে থাকে।
- ব্যবসা-বাণিজ্য কম্পিউটারের ব্যবহার- আধুনিক সময় কম্পিউটারের ব্যবহার ছাড়া ব্যবসাও বানিজ্য করা প্রায় অসম্ভব। বিজ্ঞাপন জগত থেকে শুরু করে আধুনিক মার্কেটিং সব জায়গায় কম্পিউটারের লক্ষ্য করা যায়।
- প্রশাসনিক কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার- সমস্ত দেশে অর্থনৈতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজে কম্পিউটার আজ অপরিহার্য।
- আবহাওয়া পূর্বাভাস গণনা করতে কম্পিউটারের ব্যবহার- বিজ্ঞানীরা যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করে তা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে। কম্পিউটার ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠ ও কৃত্রিম উপগ্রহগুলি নিয়ন্ত্রণ করা পাশাপাশি স্যাটেলাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণ করে এবং যথেষ্ট নির্ভুলভাবে ব্যবহার পূর্ণাভাস সম্পর্কে জানা হয়।
- খেলাধুলার ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার- বর্তমানে বিভিন্ন খেলার মাঠে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন-ক্রিকেট খেলার মাঠ কম্পিউটারের মাধ্যমে গণনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
কম্পিউটার শেখার গুরুত্ব
ক্যারিয়ার গর্তে কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্স সমূহ
আধুনিক সভ্যতা হলো বিজ্ঞান নির্ভর। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার মানব সভ্যতাকে উন্নতি চরম হয় শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো ইলেকট্রনিক। এবং এই ইলেকট্রনিক্স এর অবদান হলো কম্পিউটার। কম্পিউটার মানব মস্তিষ্কের শ্রম বহু ক্ষেত্রে কমিয়ে দিয়েছে। বহু জটিল সমস্যার সমাধান এখন কম্পিউটার দ্বারা করা হচ্ছে। কম্পিউটার নানাভাবে আধুনিক সভ্যতার উপর তার প্রভাব ইতিমধ্যে বিস্তার করে ফেলেছে।
বিভিন্ন কম্পিউটার কোর্স করে আজ মানুষ বিশ্বে নানা প্রান্তে চাকরি অথবা ব্যবসা করে ভালো পরিমাণে আয় করছেন।ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি কম্পিউটার শেখার মাধ্যমে কিভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করবেন সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটারের বিভিন্ন কোড গুলি কি কি এবং সুযোগ রয়েছে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
- বেসিক কম্পিউটার কোর্স- বেসিক কম্পিউটার কোর্সের মেয়াদ তিন মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত হয়। এই কোর্স করার জন্য তেমন কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। বাচ্চারাও এই কোর্সটি করতে পারে। বেসিক কম্পিউটার কোর্সে শেখানো হয় কম্পিউটার কি এবং এটি প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির জন্য অনেক সময় বেশি কম্পিউটার শিক্ষা কোর্স করা থাকলে প্রার্থীরা চাকরির ভালো সুযোগ পান।
- কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স- ডিপ্লোমা কম্পিউটার কোর্সের মেয়াদ ১ বছর। এই মাধ্যমিক জন্য মাধ্যমিক পাস করাটা ব্যর্থতামূলক। এই ডিপ্লোমা কম্পিউটার কোর্সের শেখানো হয় উইন্ডোজ এক্সপি, ৭, ৮, ১০ অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন কাজ। এই ডিপ্লোমা কোর্সে আপনার আরো অনেক কিছু শিখতে পারবেন যেমন- কিভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে হয়, ব্রাউজারের অ্যাডঅন কি, ইন্টারনেট ব্রাউজারের বিভিন্ন অ্যাডঅনস সম্পর্কে, ইন্টারনেটের ব্যবহার, অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর ব্যবহার ইত্যাদি। অনেক সময় সরকারি এবং বেসরকারি অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে কম্পিউটারের ডিপ্লোমা কোর্স করা প্রার্থীর প্রয়োজন হয়।
- ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং- ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি ডিপ্লোমা কোর্স। দেশের এবং দেশের বাহিরে সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে যেমন ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা কোর্স করা যায় তার পাশাপাশি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা কোর্স করা যেতে পারে। এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক পাস হতে হবে। এই কোর্সটির সময়কাল তিন বছর মোট ছয়টা সেমিস্টারে বিভক্ত। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স করে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির সুযোগ আছে।
- বিকেট ইন কম্পিউটার সাইন- বিকেট ইন কম্পিউটার সাইন্স এর কোর্সটি একটি ব্যাচেলর ডিগ্রী কোর্স। এই কোর্সটি দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কলেজ বা প্রতিষ্ঠান থেকে করা হয়। এই কোর্স করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের ফিফটি পার্সেন্ট নম্বরসহ সাইন্স শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পাস অথবা পলিটেকনিক কোর্স করা থাকতে হবে। এ কোর্সটি ৮টি সেমিস্টার বিভক্ত চার বছরের কোর্স। উইকেট ইন কম্পিউটার সাইন্স করে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় চাকরি সুযোগ আছে।
- বিসিএ কোর্স- বিসিএ কোর্স এর পুরো নাম হলো ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। এটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এর স্নাতক ডিগ্রী কোর্স। এই কোর্সটি দেশের বিভিন্ন জেনারেল ডিগ্রী কলেজ থেকে করা হয়। ছাত্রছাত্রীকে কমপক্ষে ৫০% নম্বর ও সিনিয়র মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সর্বনিম্ন বয়সের সীমা ১৭ বছর এবং ২২-২৫ বছরের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। এই কোর্সটি করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ওয়েব ডেভলপার, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, জুনিয়র প্রোগ্রামার, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার প্রভৃতি বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ আছে।
- ট্যালি- ট্যালি অনেক জনপ্রিয় একটি অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার যেটা ভারতের প্রায় বিভিন্ন অর্গানাইজেশন, কোম্পানি বা ফ্রেম গুলিতে ব্যবহার করা হয়। এমনিতে ট্যালি হল একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার। এবং এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে একাউন্টিং এর কাজ শিখতে পারলে অনেক সহজে একটি অ্যাকাউন্টের কাজ পাওয়া যেতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার থাকলে এ লাভ ও মান প্রচুর। প্রায় তিন থেকে ছয় মাসের ভেতরে একর সমাপ্ত হয়ে যায়। ট্যালি করা থাকলে অনেক তাড়াতাড়ি একটি কোম্পানি বা অরগানাইজেশন এর জুনিয়র বা সিনিয়র একাউন্টের চাকরি পাওয়া যেতে পারে।
- ওয়েব ডিজাইন- বর্তমান সময়ের সবথেকে সেরা কম্পিউটার কোর্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই ওয়েব ডিজাইন কোর্সটি। বর্তমান সময় যে কোন ছোট বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়াও ওয়েবসাইট মেইনটেইন করা সেগুলোকে অপারেট করা এবং নতুন নতুন ওয়েব পেজ ও ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পূর্ণ ক্ষেত্রে আজ একজন ওয়েব ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। যেকোনো ব্যক্তি একটি প্রাইভেট বা গভারমেন্ট কম্পিউটার ইন্সটিটিউট থেকে ওয়েব ডিজাইনারের কোর্স করতে পারেন তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা থাকতেই হবে। ওয়েব ডিজাইন এর কোর্স ৬ মাসের ও রয়েছে এবং এক বছরের প্রফেশনাল কোর্স রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ডিজিটাল কোম্পানি বা অর্গানাইজেশন এর চাকরি পাওয়ার প্রচুর সুযোগ রয়েছে এই ওয়েব ডিজাইনের কোর্স করে।
- কম্পিউটার হার্ডওয়ার রিপেয়ারিং- কম্পিউটার হার্ডওয়ার রিপায়ারিং কোর্স বর্তমানে অনেকেই করছেন এই কোর্স করে আপনারা কম্পিউটারে বিভিন্ন হার্ডওয়ার পার্টস গুলো বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন। যে কেউ কম্পিউটার হার্ডওয়ার রিপেয়ারিং কোর্স করতে পারেন। তিন মাসের থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই কোড সমূহ সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url