কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো
আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো? যদি বোঝার উপায় গুলো জেনে নেন তাহলে খুব সহজেই আপনি নিজে থেকেই আপনার ব্লাড প্রেসার লো কি না? তা জানতে পারবেন। আমরা অনেকেই লো ব্লাড প্রেসারে ভুগে থাকি কিন্তু কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো? এই বিষয়ে যদি না জানা থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো? তার উপায় গুলো জেনে নিন।
আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো? যদি উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পূরণ। তাহলে চলুন তৈরি না করে কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো? সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো
- কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো
- কি কি লক্ষণে বুঝবেন ব্লাড প্রেসার লো
- ব্লাড প্রেসার লো হলে কি করবেন
- ব্লাড প্রেসার দূর করার ঘরোয়া উপায়
- শেষ কথা
কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো - লো ব্লাড প্রেসার বোঝার উপায়
সাধারণত দুই ধরনের ব্লাড প্রেসার দেখা যায় একটি হল লো ব্লাড প্রেসার এবং অন্যটি হল হাই ব্লাড প্রেসার। এখন আপনার যদি লো ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলে কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো আছে। অবশ্যই লো ব্লাড প্রেসার বোঝার উপায় রয়েছে। যদি কেউ এ সমস্যাগুলো ভোগে থাকে তাহলে অবশ্যই তার উচিত লো ব্লাড প্রেসার বোঝার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া।
আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ৯ টি উপায়
কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো তা জেনে নিনঃ
১। ব্লাড প্রেসার যদি লো হয়ে যায় তাহলে মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভব হয়।
২। ব্লাড প্রেসার একেবারে কমে গেলে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। বসে অথবা শুয়ে থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে ওঠে।
৪। ব্লাড প্রেসার একেবারে লো হয়ে গেলে চোখ অন্ধকার হয়ে যায়।
৫। ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ও হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
৬। চোখে ঝাপসা দেখা ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ।
৭। শরীর অত্যাধিক পরিমাণে দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়া।
৮। কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা।
৯। অতিরিক্ত পানি পিপাসা লাগা।
১০। খুবই জোরে হৃদ স্পন্দন হওয়া।
১১। ব্লাড প্রেসার লো হলে পালসের গতি অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়া।
সাধারণত কারো যদি নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ ব্লাড প্রেসার লো থাকে তাহলে উপরের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। হাই ব্লাড প্রেসার যেমন আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ঠিক তেমন লো ব্লাড প্রেসার ও আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক। ইতিমধ্যে আমরা লো ব্লাড প্রেসার বোঝার উপায় সম্পর্কে জেনেছি। নিম্ন রক্তচাপের অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেসার এর কারণগুলো জেনে নিন।
১। শরীরে যদি পানির শূন্যতা দেখা দেয় তাহলে ব্লাড প্রেসার লো হতে পারে।
২। কোন দীর্ঘমেয়াদি রোগে যদি আক্রান্ত থাকে তাহলে ব্লাড প্রেসার লো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। ডায়রিয়া অথবা অতিরিক্ত পরিমাণে বমি হলে ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে।
৪। শরীরে যদি হরমোন জনিত সমস্যা থাকে তাহলে ব্লাড প্রেসার লো হতে পারে।
৫। খাবার যদি সময় মতো না খাওয়া হয় তাহলে অনেক সময় শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে ব্লাড প্রেসার লো হতে পারে।
৬। অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা করার ফলে ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
লো ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণ - কি কি লক্ষণে বুঝবেন ব্লাড প্রেসার লো
আপনার যদি ব্লাড প্রেসার লো থাকে তাহলে আপনি কি কি লক্ষণে বুঝবেন ব্লাড প্রেসার লো? ব্লাড প্রেসার লো নির্ণয় করার আগে অবশ্যই আমাদেরকে লো ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ অনেক সময় ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার যদি ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে কি কি লক্ষণে বুঝবেন ব্লাড প্রেসার লো? তা জেনে নিন।
লো ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণঃ
- মাথা ঘোরা
- ভারসাম্যহীনতা
- চোখে অন্ধকার দেখা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত পিপাসা লাগা
- প্রসব কমে যাওয়া
- ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
- শারীরিক ও মানসিক অবসাদ
- হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
১। মাথা ঘোরাঃ ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ হল হঠাৎ করে মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভব হওয়া। যদি এরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি ব্লাড প্রেসার লো এর একটি লক্ষণ।
২। ভারসাম্যহীনতাঃ যদি আমাদের রক্তচাপ কমে যায় তাহলে বসে থেকে অথবা শুয়ে থেকে দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে নিজের শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এটি ব্লাড প্রেসার লো অন্যতম লক্ষণ।
৩। চোখে অন্ধকার দেখাঃ যেহেতু নিম্ন রক্তচাপ আমাদের শরীরের সাথে জড়িত তাই যদি কখনো শরীরের রক্তচাপ কমে যায় তাহলে আমাদের চোখে অন্ধকার দেখা অথবা ঝাপসা দেখার মত লক্ষণ গুলো দেখা যায়।
৪। অজ্ঞান হয়ে যাওয়াঃ হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া নিম্ন রক্তচাপের অন্যতম একটি লক্ষণ।
৫। অতিরিক্ত পিপাসা লাগাঃ শরীরের রক্তচাপ যদি কমে যায় তাহলে অতিরিক্ত পিপাসা লাগে। অতিরিক্ত পিপাসা লাগা ব্লাড প্রেসার লো এর অন্যতম একটি লক্ষণ।
৬। প্রসাব কমে যাওয়াঃ ব্লাড প্রেসার লো হলে প্রসাব অনেক সময় কমে যায়। কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো প্রশ্ন করে থাকলে এ লক্ষণগুলো লক্ষ্য করুন।
৭। ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়াঃ রক্তচাপ যদি কমে যায় তাহলে এটি শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা করতে পারে। ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ব্লাড প্রেসার লো এর অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার দশটি নিয়ম
৮। শারীরিক ও মানসিক অবসাদঃ শরীর প্রচুর পরিমাণে দুর্বল মনে হওয়া। সাধারণত ব্লাড প্রেসার লো হলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় এবং একটুতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
৯। হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াঃ ব্লাড প্রেসার লো এর অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ হল রোগীর হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
ব্লাড প্রেসার লো হলে কি করবেন - ব্লাড প্রেসার লো হলে করণীয়
আপনার যদি ব্লাড প্রেসার লো থাকে আর আপনি ব্লাড প্রেসার লো হলে কি করবেন? এটি না জেনে থাকেন তাহলে এটি আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে। যদি আপনি লো ব্লাড প্রেসার এর রোগী নাও হয়ে থাকেন তবুও ব্লাড প্রেসার লো হলে কি করবেন? এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ব্লাড প্রেসার লো হলে করণীয় গুলো এখন জানাবো।
ব্লাড প্রেসার লো হলে করণীয়ঃ
১। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। অনেক সময় আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে তাই শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
২। যদি ব্লাড প্রেসার লো থাকে তাহলে হঠাৎ করে এই সমস্যা হলে রোগীকে অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকতে দেবেন না।
৩। যদি কখনো নিম্ন রক্তচাপ হওয়ার পরে অনেকক্ষণ বসে অথবা শুয়ে থাকার পরে যখন উঠবে তখন খুবই সাবধানে এবং ধীরে ধীরে উঠতে হবে।
৪। ব্লাড প্রেসার লো হলে করণীয় হলো ঘন ঘন হালকা খাবার খেতে হবে। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরো কমে যেতে পারে।
৫। অবশ্যই আপনার খাবার তালিকা পরিবর্তন করুন। পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার কারণে ব্লাড প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই খাবার তালিকা পরিবর্তন করুন।
৬। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অবশ্যই গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন। গ্লুকোজ ও স্যালাইন নিম্ন রক্তচাপ থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে।
৭। খাবার খাওয়ার সময় এক চিমটি করে লবণ খেতে পারেন। এর থেকে বেশি খাওয়া যাবেনা। অথবা লবণযুক্ত খাবার খেয়ে রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারেন।
৮। দুধ ডিম সহ যত রকমের পুষ্টিকর খাবার রয়েছে খেতে হবে। এক্ষেত্রে মুরগির চেয়ে হাঁসের ডিম বেশি কার্যকরী তাই রক্তচাপ বৃদ্ধি করার জন্য হাঁসের ডিম খেতে পারেন।
৯। কিসমিস নিম্ন রক্তচাপ রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী এবং উপকারী। অল্প পরিমাণে কিসমিস ভেজিয়ে প্রতিদিন সকালে নিয়মিত খেলে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১০। লোভ ব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য মধু এবং বাদাম বেশ কার্যকরী। মধু দুধে মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায় এবং কাঠবাদাম ও চিনা বাদাম এক্ষেত্রে উপকারিতা রয়েছে।
ব্লাড প্রেসার দূর করার ঘরোয়া উপায়
কারো যদি ব্লাড প্রেসার একেবারে কমে যায় তাহলে তখন লো ব্লাড প্রেসার বলা হয়। আমরা অনেকেই হাই ব্লাড প্রেসারের বুকে থাকি আবার অনেকেই লো ব্লাড প্রেসারে ভুগে থাকি। দুই ধরনের ব্লাড প্রেসারই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসার দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো আমাদের জেনে রাখতে হবে।
- লবণ পানি
- কিসমিস
- পুদিনা
- যষ্টিমধু
- বাদাম
১। লবণ পানিঃ আমরা জানি যে লবণে রয়েছে সোডিয়াম এ উপাদানটি আমাদের শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। কিন্তু পানিতে বেশি লবণ না দেওয়া সব থেকে ভালো। এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ চিনি ও এক দুই চামচ লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
২। কিসমিসঃ কিসমিস এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওষুধে গুণ। বিশেষ করে নিম্ন রক্তচাপ রোগীদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী। এক দুই কাপ কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে যদি খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩। পুদিনাঃ ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম পটাশিয়াম এই উপাদান গুলো যার দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদ দূর করে। তাই যদি নিম্ন রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে পুদিনা বেটে তাতে অল্প পরিমাণে মধু যুক্ত করে খেতে পারেন।
৪। যষ্টিমধুঃ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হিসেবে যষ্টিমধু প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক চামচ যষ্টিমধু মিশিয়ে খেতে পারেন এটি লোভ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী। এছাড়া দুধের সঙ্গে যষ্টিমধু মিশিয়ে খেলে আরো বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ প্রেসার লো হলে করণীয় ১৫ টি কাজ - প্রেসার লো এর ১৬ লক্ষণ
৫। বাদামঃ লো ব্লাড প্রেসার এর জন্য বাদাম বেশ কার্যকরী। যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিত বাদাম খাওয়া যায় তাহলে লো ব্লাড প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লোঃ শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লো? ব্লাড প্রেসার দূর করার ঘরোয়া উপায়, ব্লাড প্রেসার লো হলে করণীয়, ব্লাড প্রেসার লো হলে কি করবেন? কি কি লক্ষণে বুঝবেন ব্লাড প্রেসার লো? লো ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণ, লো ব্লাড প্রেসার বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। ১৬৮৩০
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url