দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী

 আপনি কি দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সে সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী
নিচে আপনাদের জন্য দাঁত ব্যাথার কারণ, দাঁত ব্যথা হলে করণীয় এবং দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সে সম্পর্কে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী 

দাঁত ব্যাথার কারণ

দাঁতের ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল দাঁতের ক্ষয়, যা ক্যাভিটিস নামেও পরিচিত। যখন মুখের ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড তৈরি করে যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে, তখন এটি সংবেদনশীলতা এবং ব্যথা হতে পারে। প্রভাবিত আক্কেল দাঁত ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে কারণ তারা পাশের দাঁতের সাথে আঘাত খায় বা সংক্রমিত হয়। যার ফলে দাত ব্যাথা হয়ে থাকে।
আবার দাতের ভেতর যদি খাবার লেগে থাকার ফলে জীবানু ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাহলে দাঁত তীব্র ব্যথা করে। আবার দাতের বিভিন্ন রোগ রয়েছে যেগুলো হলে দাতের ব্যথা হতে পারে। দাতের মাড়িতে বা মুখে শারীরিক আঘাত যেমন চোয়ালে আঘাতের ফলে দাঁতে ব্যথা হতে পারে। সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণের জন্য আপনি যদি দাঁতে ব্যথা অনুভব করেন তবে একজন ডেন্টিস্টের সাথে পরামর্শ করা অপরিহার্য। দাঁতের ব্যথা উপেক্ষা করা আরও গুরুতর সমস্যা এবং জটিলতা হতে পারে।

দাঁত ব্যথা হলে করণীয়

আপনার যদি দাঁতে ব্যথা হয়, তাহলে ব্যথা উপশম করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া এবং অন্তর্নিহিত কারণটি সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি দাঁতের ব্যথা অনুভব করেন তবে আপনি যে পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন তা এখানে  বর্ননা করা হবে। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি দাঁত ব্যথা হলে করণীয় জানতে পারবেন। 
আপনার মুখটি পরিষ্কার করার জন্য হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে মুখে থাকা জীবাণু মারা যাবে এবং আপনার মুখে কোনরকম ক্ষতি হবে না। আটকে থাকতে পারে এমন কোনও খাদ্য কণা বা ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে আপনার দাঁতের মধ্যে সাবধানে ফ্লস করুন। খুব জোরে এবং অতিরিক্ত ফ্লস করলে দাতে ব্যথা হতে পারে। আপনার গালের বাইরে একটি কাপড়ে মোড়ানো একটি ঠান্ডা সংকোচ বা বরফের  প্যাক প্রয়োগ করতে পারেন। তাহলে দাঁত ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে।

কোন দাঁতে ব্যথা হচ্ছে তা যদি আপনি সনাক্ত করতে পারেন, তাহলে আরও জ্বালা এড়াতে আপনার মুখের সেই পাশে চিবানো এড়াতে চেষ্টা করুন। কোন খাবার ঐ পাশ দিয়ে চিবিয়ে খাওয়া পরিহার করুন। দাতের ব্যথা দূর করতে যতদ্রুত সম্ভব একটি ডেন্টালিস্ট অর্থাৎ দাত বিশেষজ্ঞের থেকে চিকিৎসা নিন। তাহলে আপনার দাতের ব্যথার কারণ নির্ণয় করে ডাক্তার আপনাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তুলতে পারবে খুব সহজেই।

দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী 

প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে ডাক্তার দেখানোর পুর্বেই নিজের প্রাথমিক জ্ঞানকে প্রয়োগকে করে যে চিকিৎসা নেয়া হয়। দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সেটা অবশ্যই সকলের জানা প্রয়োজন। কেননা দাঁত ব্যাথার সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। তো আজকে আপনারা সকলেই জেনে নিন দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সে সম্পর্কে। দাত ব্যথা কমাতে লবঙ্গ পিশে কয়েকফোটা অলিভওয়েলের সাথে মিশিয়ে দাতে লাগাতে পারেন।
এছাড়াও দাত ব্যথা করলে রসুন পিশে লবনের সাথে মিশিয়ে দাতে লাগাতে পারেন। এতে দাতের ব্যথা কমে যাবে। এছাড়াও পেয়াজের পেছনের অংশ কেটে আগুনে সেক দিয়ে গরম করে দাতের গোড়ালিতে ধরে থাকলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। আবার গোল মরিচের সাথে লবঙ্গের পেস্ট তৈরি করে দাতে লাগালেও দাত ব্যথা উপশম হতে পারে। গরম পানি করে এক চামচ লবন নিয়ে কুলকুচি করলে দাতের ব্যথা দূর হয়। এভাবে দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা করা যায়। 

দাঁত ব্যথার ঔষধ

দাঁতের মাড়ি ব্যাথার ঔষধ অনেকক্ষেত্রে দাতের ব্যথা দূর করতে অনেক ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই দাতের ব্যথা দূর করতে দাঁতের মাড়ি ব্যাথার ঔষধ নিতে পারেন। দাঁতের মাড়ি ব্যাথার ঔষধ হচ্ছে ফ্লুব্লাস্ট ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট খেলে দাঁতের মাড়ি ব্যাথা সেরে যাবে। তবে আপনি ঔষধ গ্রহনের পূর্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক

দাঁত ব্যথা খুবই কষ্টের একটা সমস্যা। দাঁত ব্যথা দূর করতে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক নিজে নিজে গ্রহন করা খুবই রিস্কি দেখায়। শরীরের জন্য এন্টিবায়োটিক এমনিই খারাপ তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক নেয়া উচিত নয়। দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক হিসেবে সেফুরক্সিম ৫০০/ ২৫০ মিলিগ্রাম এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে দাঁত ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা কী তা ছাড়াও দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক, দাঁত ব্যথার ঔষধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বেশি বেশি পড়তে ও জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url