তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত - তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত - তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। আবু হোরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ফরজ নামাজ পড়ার পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুতের নামাজ। তাহাজ্জুদ নামাজ একটি নফল ইবাদত তবে নফল ইবাদতের মধ্যে আন্যাতম একটি ইবাদত।

তাহাজ্জত নামাজ কয় রাকাত - তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

তাহাজ্জুদ এর নামাজ মানে আমরা বুঝি, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে নফল ইবাদত রাতের নামাজের নাম তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদের নামাজ ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত নয়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন এবং তার উম্মতদের এটা পালনের উৎসাহিত করতেন।

সূচিপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত - তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

  • ভূমিকা
  • তাহাজ্জুদ নামাজ কি
  • তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
  • তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
  • তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
  • তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত
  • রাসূল সাঃ তাহাজ্জুদ নামাজে যে দোয়া পড়তেন
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
  • উপসংহার

ভূমিকাঃ

তাহাজ্জুদের নামাজ এর গুরুত্ব ফজিলত অনেক। যাবে বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবে তারা হলেন যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। তাহাজ্জুতের নামাজ একটি নফল ইবাদত তবে এই নামাজটি নফল হলেও এর গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। আল-কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় তাহাজ্জুদ নামাজের কথা উল্লেখ আছে এবং এই নামাজের প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

তাহাজ্জুদের নফল ইবাদতকে আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিয়মিত তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়তেন এবং তার সাহাবীদের কেউ এ নামাজ পড়তে তাগিদ দিতেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ কিঃ

তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হল - "ঘুম থেকে জাগা"। তাহাজ্জুদ নামাজ নামাজ হচ্ছে একটি নফল ইবাদত। এ নামাজ আপনি যদি নিয়মিত ভাবে আদায় করতে পারেন তবে আপনি অশেষ পূর্ণ লাভ করতে পারবেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসুল সাঃ এর উপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। এ নামাজ আদায় করলে যেমন আপনি অশেষ পূর্ণ লাভ করবেন অপরদিকে আপনি যদি এ নামাজ আদায় করতে না পারেন তবে কোন গুনাহ হবে না।

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাতঃ

তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই। তবে দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত থেকে শুরু করে যত রাকাত ইচ্ছা আদায় করা যায়। ইসলাম বক্তাদের পরামর্শ হলো নূন্যতম চার রাকাত আদায় করা যে কয় রাকাতই পড়া হোক তা নিয়মিত আদায়ের অভ্যাস করা। যেমন একটা হাদিসে ইরশাদ হয়েছে হযরত আবু সালমা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা রাঃ জিজ্ঞাসা করেন রমজানে নবীজির নামাজ কেমন হতো, 

তিনি উত্তরে বললেন হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রমজানে এবং রমজানের বাইরে.১১ রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তে তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন তার সৌন্দর্য দীর্ঘ তাতে বালাই বাহুল্য। এরপর তিনি তিন রাকাত পড়তেন বিতর। সহি বুখারীঃ১/১৫৪

উল্লেখিত বর্ণনা দ্বারা বোঝা গেল হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন কখনো ছয় রাকাত পড়তেন কখনো আট রাকাত পড়তেন কখনো দশ রাকাত পড়তেন। সুতরাং তাহাজ্জুদের নামাজ ১০ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায় এর চেয়ে বেশি পড়া যাবে না এমন নয় যেহেতু এটি নফল নামাজ তাই যত বেশি পড়া যায়। তবে আপনি যে কয় রাকাতই পড়েন না কেন সেটা নিয়মিত ভাবে পড়বেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়মঃ

তাহাজত নামাজ একটি নফল ইবাদত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুতের নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতেন। তাহাজ্জুতের নামাজ কেউ বলে চার রাকাত কেউ আবার বলে ৮ রাকাত আবার কেউ বলে ১২ রাকাত। তবে আপনি যদি দুই রাকাত আদায় করেন তাহলেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় হবে।

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু বলেছেন," যে ব্যক্তি এশার পর দুই বা ততোধিক রাকাত নামাজ পড়ে নেয় সে হবে তাহাজ্জুদের ফজিলত এর অধিকারী"। তাহাজ্জুদের নামাজ যে কোন সূরা দিয়েই পড়া যায়। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সেজদা সহকারে একান্ত নির্বিষ্ট মনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। চলুন নিম্নে জেনে নেই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম-

নিয়মঃ

  • প্রথমে তাকবীরে তাহরিমা ' আল্লাহু আকবার ' বলে নিয়ত বাধা।
  • এরপর ছানা পড়া
  • সুরা ফাতেহা পড়া
  • সূরা মিলানোর তথা কেরাত পড়া
  • অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু সেজদা আদায় করা।

এভাবেই আপনি দ্বিতীয় রাকাত আদায় করে তাশাহুদ দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যদি এশার নামাজ পড়ে বিতরের নামাজ পড়ে থাকেন তবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার পরে ভিতরে নামাজ পড়ে থাকেন তবে পরে বিতরের নামাজ পড়ার দরকার নেই। তখন দুই রাকাত থেকে শুরু করে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লেই হবে।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়ঃ

আপনি যদি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে চান তবে অবশ্যই রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের মূল সময় মূলত রাত দুইটা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও ভিতরের আগে তা পড়ে নেওয়া জায়েয আছে। তবে আপনি যদি শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন তবে এটা সর্বোত্তম।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়তঃ

" নাওয়াই তু আন উসাললিয়া রোকাতায় তাহাজ্জুদু আল্লাহু আকবার"

অর্থঃ দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি, অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।

তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্তঃ

তাহাজত নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় এশার নামাজ আদায়ের পথ থেকে সুবহে সাদেক এর আগ পর্যন্ত। কুরানে রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের যে তাকিদ করা হয়েছে তার মর্ম এই যে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামাজ পড়া। তাহাজ্জুদের সর্বোত্তম সময় হচ্ছে এশার নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়া এরপরে মধ্যরাতে উঠে নামাজ আদায় করা।

রাসূল সাঃ তাহাজ্জুদ নামাজে যে দোয়া পড়তেনঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার সময় যে দোয়া পাঠ করতেন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সে দোয়াটি-

দোয়াটি হল "কুরআনের আয়াত সহ সূরা আল ইমরানের শেষ পর্যন্ত"

"রাব্বানা মা খালাক্তা হাজা বাতিলান সুবহানাকা ফাকবিনা আজাবান্নার। রাব্বানা ইনন্নাকা মাং তুদখিলিন্নারা ফাকাদ আখঝাইতাহু,ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন আংছার।রাব্বানা ইন্নানা,সামিনা মুনাদিয়াই ইউনাদি লিল ইমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না,রাব্বানা ফাগফিরলা না জুনুবানা ওয়া কাফির আন্না সাইইয়ে আতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআ'ল আবরার"।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক, এসব তুমি অন্যর্থক সৃষ্টি করনি পবিত্রতা তোমারি জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহান নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক, নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো তাকে অপমানিত করো। আর জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু, আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। আমাদের পালনকর্তা তুমি আমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ ত্রুটি দূর করে দাও আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়াতেন তখন এ দোয়া পাঠ করতেন। দোয়াটি হল-

" আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিকিন্না ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুল্কুস সামাওয়য়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওতি ওয়াল আরদ।ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু।ওয়া লিকবাউকা হাক্কু।ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু।

ওয়ান নারু হাক্কু।ওয়ান নাবিয়্যুনাহাক্কু।ওয়াসদ সাওতু হাক্কু।অল্লাহুম্মা লাকা আসঅলামতু।ওয়াবুকা আমাংতু ওউয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু।ওয়া ইলাইকা আনাবতু।ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয় মা আখখারতু।ওয়া মা আসরাতু ওয়ামা আলাংতু।আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুয়াখখিরু।লাইলাহা ইল্লা আংতা।লা ইলাহা গাইরুকা"।( বুখারি )

অর্থঃ' হে আল্লাহ, সব প্রশংসা আপনার ওই আপনি আসমান জমিন ও উভয়ের মাঝে বিদ্যমান সবকিছুর নিরাময় এবং আপনার জন্য সব প্রশংসা। আসমান জমিন এবং এর মাঝে বিদ্যমান সবকিছুর কৃতিত্ব আপনার ওই। আপনার ওই জন্য সব প্রশংশা। আপনি আসমান জমিনের নুর। আপনারও জন্য সব প্রশংসা। 

আপনি আসমান জমিনের মালিক আপনার জন্যই সব প্রশংসা। আপনিই চিরসত্য। আপনার ওয়াদা চিরসত্য পরকালে আপনার সাক্ষাৎ সত্য। আপনার বাণী সত্য, আপনার জান্নাত সত্য,আপনার জাহান্নাম সত্য,আপনার প্রেরিত নবীগণ সত্য,মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য,কেয়ামত সত্য। হে আল্লাহ, আপনার কাছে আমি আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার উপর ঈমান আনলাম আপনার উপরই ভরসা করলাম। 

আপনার দিকে রুজু করলাম আপনার সন্তুষ্টির জন্যই শত্রুতাই লিপ্ত হলাম। আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম তাই আপনি আমার আগের পরের প্রকাশ্য ও গোপন সব পাপ অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনি শুরু এবং আপনিই শেষ মালিক আপনি ব্যতীত সত্য কোন প্রকৃত ইলাহ নেই অথবা আপনি ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত অন্য কেউ নেই। 

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার গুরুত্ব ফজিলতঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি পবিত্র কুরআনের তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষভাবে তাগিদ করা হয়েছে। কারণ তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। অন্যান্য নফল নামাজের চেয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ উত্তম। চলুন নিম্নে জেনে নেই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার গুরুত্ব ফজিল-

তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল অবিচল সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ভুল ত্রুটির ক্ষমাপ্রার্থী"।( সূরা আল ইমরান, আয়াত- ১৭ )

আল কুরআনের সূরা আল মুযাম্মিল এ উল্লেখ করা হয়েছে " অবশ্য রাতে ঘুম থেকে উঠে মনকে ধাবিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কুরআন পাঠ বা জিকির একেবারে যথার্থ")।

তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করে সূরা আজ যারিয়াত আয়াত ১৭-১৮

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নামাজ পড়ায় এমনকি সে যদি জেগে না উঠে তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষণ করে থাকেন। 

অনুরূপ কোন মহিলা যদি রাতের কালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে এবং সে রাতে তার স্বামীকে নামাজের জন্য জায়গায় এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে।( আবু দাউদ, নাসা ই মেসকাত ১০৯ পৃষ্ঠা )

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন আল্লাহর নিকট ওতিবি ও নামাজ দাউদ আলাই সালাম এর নামাজ। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং রাতের তৃতীয় ভাগে নামাজে দাঁড়াতেন আর ষষ্ঠ ভাগে আবার ঘুমাতেন। বুখারী মুসলিম মেশকাত ১০৯ পৃষ্ঠা

ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নত ও নফল সব নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত সবচেয়ে বেশি। আহাম্মদ মিশকাত ১১০ পৃষ্ঠা

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরো বলেন, আমাদের প্রভু পারওয়ারদেগার তাবারাকা ওয়াতায়ালা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ায় আসমানে যা আমাদের সৃষ্টি গোসল হয় নেমে আসেন যখন রাত্রে একটিতে অংশ বাকি থাকে। কতবার তিনি বলেন তোমরা আমাকে ডাকো আমি ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেবো কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। মুসলিম মেশকাত ১০৯ পৃষ্ঠা

উপসংহারঃ তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত - তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, কেয়ামতের ভয়াবহ বিপর্যয় ও কঠিন হিসাব নিকাশের দিবসে কোন ব্যক্তি যদি সহজে হিসাব কামনা করে তবে তার উচিত হবে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। আল্লাহতালা মুসলিম উম্মাহ কে যথাযথভাবে রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং আমাদের আর্টিকেলের মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে,

তবে অবশ্যই আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url