শীতে সব সময় ত্বক তাজা রাখবে যে তেল

আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি শীতকালে ত্বক নিয়ে চিন্তায় আছেন। শীতকালের ত্বক ভালো রাখতে হলে আপনাকে প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করতে হবে। কারণ প্রাকৃতিক তেল বেশ উপকারী শীতকালে রাসায়নিক ক্রিম বা লোশন ব্যবহার না করে আপনি প্রাকৃতিকভাবে যে তেল উৎপন্ন হয় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

শীতকালে আমরা কম বেশি সবাই যে তেলটি ব্যবহার করি সেটি হল অলিভ অয়েল তেল। এই অলিভ অয়েল তেলে এন্ড অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি এজিং উপাদান ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও আপনি শীতকালে ত্বকের যত্নে চন্দনগুড়া, দুধের সর এবং যেকোনো তেল আধা চা চামচ হলুদের গুড়ার সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

ভূমিকাঃ

আপনি যদি শীতকালে ত্বকে তেল ব্যবহার করেন তবে আপনার নানারকম সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও আপনার ত্বকের ডাকছো ব্রণ ক্ষতের দাগ সালমান ইত্যাদি দূর করতেও সাহায্য করে অলিভ অয়েল। আপনি যদি শীতে আপনার ত্বককে শুষ্ক আবহাওয়া থেকে রক্ষা করতে চান তবে অবশ্যই আপনি প্রতিদিন অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার ত্বকে।

শীতে যেসব তেল আপনি ব্যবহার করতে পারেনঃ

শীতকালে যেসব তেল আপনি ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

রোজ এবং জেরে নিয়াম অয়েলঃ

আপনি যদি শীতকালে ত্বকে রোজ সেরেনিয়াম অয়েল ব্যবহার করেন তবে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে শুষ্ক এবং প্রাণবন্ত। কারণ এতেলে রয়েছে গোলাপ এবং জেরেনিয়াম যা আপনার ত্বককে সুন্দর রাখবে। এছাড়াও আপনি শুধু শীতকালে যে তেল ব্যবহার করে আপনার ত্বক সুস্থ রাখবেন সেটা কিন্তু নয়। শীতকালে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনি যদি পানি পান না করেন তবে শরীরের জলের ঘাটতির জন্যও আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে। সেজন্য তেলের পাশাপাশি শীতকালে আপনার ত্বককে তাজা রাখতে হলে পানি খাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

কাঠ বাদামের তেলঃ

কাঠবাদামের তেলের গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি এতে সম্পর্কে বলার কিছুই নেই নতুন করে কারণ আপনার ত্বক এবং চুলের পুষ্টি জোগাতে কাঠবাদামের তেল বিশেষভাবে উপকারী এবং চামড়ার মেয়েদের দাগ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে কাঠ বাদামের তেল। আপনি যদি নিয়মিতভাবে কাঠবাদামের তেল শীতকালে ব্যবহার করেন ত্বকে তবে আপনার ত্বক হবে আরো সুন্দর।

অলিভ অয়েলঃ

শীতে সবসময় তোকে তাজা রাখতে হলে আপনাকে তেল ব্যবহার করতে হবে। এখন প্রশ্ন হল কোন তেল আপনি ব্যবহার করবেন ত্বকে। বর্তমান সময়ে বাজারে নানা ধরনের তেল পাওয়া যায় ত্বকে ব্যবহারের জন্য এখন আপনি এই নানা ধরনের তেলের মধ্যে কোন তেলটি আপনার ত্বকের ব্যবহার করবেন সেটা বেছে নিতে হবে। 

নানা ধরনের তেলের মধ্যে আমার মতে অলিভ অয়েল তেলটা অত্যন্ত উপকারী আপনি যদি এই তেলটা শীতকালে ব্যবহার করেন আপনার ত্বকে তবে আপনার ত্বক থাকবে সুন্দর এবং কোমল। কারণ এই তেলটা আমি নিজে ব্যবহার করি। আপনারাও করতে পারেন।

বার্গামর্ট ওয়েলঃ

পিরিসের পর থেকে আমাদের ত্বকে বয়স জনিত বা শারীরিক কারণে নানারকম অবাঞ্ছিত দাগে ভরে ওঠে। এবং এই দাগগুলো ঢাকার জন্য আমরা নানা রকমের মেকআপ এবং প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। তবে আপনি যদি এই দাগগুলো মুছে ফেলতে চান তবে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকে।

গোল মরিচ এবং দারচিনির তেলঃ

আপনি যদি আপনার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চান তবে শীত পড়ার আগে থেকেই আপনাকে গোলমরিচ এবং দাড়ি চিনি মিশ্রিত তেল ব্যবহার করতে হবে তোকে। কারণ বাতাসে থাকা ফ্রি রেডিকেল বয়সের আগেই চামড়ার জোলুস নষ্ট করে দেয়।

চন্দন এবং ভ্যানিল অয়েলঃ

এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লো মেটরি যৌগে ভরপুর এই তেল ত্বকের গভীরে গিয়ে ক্ষত নিরাময় করে। আপনাদের তকে যাদের অতিরিক্ত শুষ্ক তাদের জন্য এই তেল বেশ উপকারী এবং ত্বকের পাশাপাশি মনেরও যত্নে চন্দের এবং ভ্যানিলা অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি নিয়মিতভাবে চন্দন এবং ভ্যানিলা ওয়েল আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তবে আপনার ত্বক হবে প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল।

নারিকেল তেল এর ব্যবহারঃ

শীতকালে আপনার ত্বকের যত্নে নারিকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন কারণ আপনি যদি নিয়মিতভাবে ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করেন তবে আপনার ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দূর হবে। এবং ত্বকের রেশ দূর হবে, স্কিন টেকচার হবে। শীতকালে আপনি যদি ত্বকের সঠিকভাবে পরিচর্যা না করেন তবে আপনার অকালেই রিস্কেল বা বলিরেখার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আপনি যদি শীতের আগে থেকেই আপনার ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করেন তবে এই তেলের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে মেসেজের প্রয়োজন নেই শুধু নারিকেল তেল দিয়েই মেসেজ করলেই আপনার ত্বকের একদম গভীর স্তর পর্যন্ত প্রবেশ করে ময়শ্চারাইজার লক করবে এবং আপনার টক হবে শুষ্ক উজ্জ্বল এবং মোলায়েম।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

আমরা প্রতিনিয়ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকি তবে এই ব্যস্ততার মধ্যেও আপনাকে কিছুটা সময় বের করতে হবে ত্বকের জন্য। জাফরান কাঁচা দুধে মিশিয়ে মুখে লাগান প্রতিদিন ২০ দিন পরে নিজেই বুঝতে পারবেন নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা। এছাড়াও শীতকালে ত্বকের যত্নে আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও মনোযোগী হতে হবে। 

শীতকালীন সবজি যেমন শিম বরবটি নানারকম শাক মটরশুঁটি ফুলকপি ক্যাপসিকাম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। কারণ এই শাকসবজি সুন্দর স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। গোসলের আগে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় আপনার ত্বকে তেল রেখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন।

শেষ কথাঃ শীতে সবসময় ত্বক তাজা রাখবে যে তেল

পর শেষে আমি বলতে চাই যে, নারিকেল তেল প্রাকৃতিক মহেশচারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি সারাদিন তকে আদ্রতা ও পুষ্টি ধরে রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কমে যায় এ কারণে এ সময় শরীর হাত-পা খসখসে হয়ে যায়। এ খসখসে ভাব দূর করতে আপনি আপনার ত্বকে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। রসুন বা ক্রিম ও ত্বকের জন্য ভালো তবে তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে বেশি আদ্রতা যোগায়।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url